অপটিক্যাল স্কয়ারের নীতি

অপটিক্যাল স্কয়ারের নীতি – পাঠটি “সার্ভেয়িং ১”অপটিক্যাল স্কয়ার” বিভাগ এর একটি পাঠ । কোনো আলোকরশ্মি দুটি প্রতিফলকের উপর পর্যায়ক্রমে প্রতিফলিত হলে এদের (আপতিত ও প্রতিফলিত রশ্মির) অন্তর্ভুক্ত, কোণ প্রতিফলকদ্বয়ের অন্তর্ভুক্ত কোণের দ্বিগুণের সমান” অর্থাৎ প্রথম আপতিত রশ্মি ও শেষ প্রতিফলিত রশ্মির অন্তর্ভুক্ত কোণ দর্পণদ্বয়ের অন্তর্ভুক্ত কোণের দ্বিগুণের সমান। এ নীতির উপর ভিত্তি করেই অপটিক্যাল স্কয়ার তৈরি করা হয়।

 

অপটিক্যাল স্কয়ারের নীতি | অপটিক্যাল স্কয়ার | সার্ভেয়িং ১

অপটিক্যাল স্কয়ারের নীতি

অপটিক্যাল স্কয়ার তৈরিতে আলোকীয় নীতিমালা (Optical principle) অনুসরণ করা হয় বিধায় নিচে আলোকীয় নীতিমালার ভিত্তিতে এর ব্যাখ্যা করা হলো :

 

অপটিক্যাল স্কয়ারের নীতি | অপটিক্যাল স্কয়ার | সার্ভেয়িং ১

পাশের চিত্রে 

H = দিকচক্রবাল আয়না (Horizon glass )

I = সূচক আয়না (Index glass )

0 = বস্তু

ol = আপতিত রশ্মি

IH প্রতিফলিত রশ্মি (H আয়নার জন্য আপতিত রশ্মি)

HC = প্রতিফলিত রশ্মি

D= প্রথম আপতিত রশ্মি ও শেষ প্রতিফলিত রশ্মির ছেদ বিন্দু

অপটিক্যাল স্কয়ারের নীতি | অপটিক্যাল স্কয়ার | সার্ভেয়িং ১
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

CL = শিকল রেখা

α = আয়নাদ্বয়ের অন্তর্ভুক্ত কোণ

ZAIO = <BIH =6

Z PHI = ZQHC=0

[আপাতন ও প্রতিফলন কোনো সমান বলে]

< HDI = 90° [ শিকল রেখার উপর বস্তু লম্ব তৈরি করবে তাই]

এখন ZDHI= 180° – 26 এবং Z HID = 180° – 20

A DHI তে – DHI + Z HID + 90° = 180°

(Z DHI ও Z HID এর মান বসিয়ে)

180°-20+180°-20+90° = 180°

2 (0+) = 270° .. (0+) 135°

A HIX-এ 0 + + a = 180°

(0 + p–এর মান বসিয়ে

a = 45°

 

অপটিক্যাল স্কয়ারের নীতি | অপটিক্যাল স্কয়ার | সার্ভেয়িং ১

 

এতে প্রমাণিত হয় যে, অপটিক্যাল স্কয়ারের আয়নাদ্বয়ের অন্তর্ভুক্ত কোণ 45° হলে এবং শিকল রেখার যে বিন্দুতে অপটিক্যাল স্কয়ার থাকলে শেষ প্রতিফলিত রশ্মি শিকল রেখায় গমন করে, বস্তু ঐ বিন্দুতে শিকল রেখার সাথে সমকোণ তৈরি করে । [স্মরণ রাখা আবশ্যক যে, যেহেতু আয়নাদ্বয় উল্লম্বতলে স্থাপন করা হয়, সেহেতু অপটিক্যাল স্কয়ার ব্যবহারকালে অবশ্যই অনুভূমিক তলে রাখতে হবে।

জরিপ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং ভূগোলবিদদের নিকট এর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রত্যেক দেশে সরকারী পর্যায়ে ‘জরিপ বিভাগ’ বলে একটি কার্যালয় দাতাদের কাজ হল দেশের সীমারেখা নির্ধারণ করা, প্রতিবেশী দেশের সাথে সীমারেখা নিয়ে কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে তা নিরসন করা, দেশের জন্য সময়ে সময়ে ভূমি জরিপের মাধ্যমে মৌজা, ভূ-সংস্থানিক মানচিত্র তৈরী, নতুন তথ্য পুরাতন মানচিত্রে সংযোজন ইত্যাদি পরিচালনা করা।

Leave a Comment